প্রকৃতির এক আশ্চর্য খেলা এই জীবন। রোজকারের কোলাহল আর নিস্তব্ধতার মধ্যে মাঝে মাঝে কেমন জানি না একলা লাগে নিজেকে। সম্পর্কের বাঁধন থেকে পালিয়ে গিয়ে লাগামছাড়া কোনো এক অজানা দেশে পাড়ি দিতে ইচ্ছে করে! ঘাস, সবুজ আর একাকীত্বের মাঝে, যেখানে প্রকৃতির খেলার মাঝে নিজেকে ফিরে পাওয়া যায়। মন্দ্বারীকা, এরমি এক হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা, যেখানে নিজেকে নতুন ভাবে তুমি ফিরে পাবে।
চারিপাশে শুধু সবুজ আর খোলা আকাশ, আছে পাখির ডাক আর পাতার শান্ত আওয়াজ। দূষণ কে সীমিত করার এক অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা, বাড়ি ঘর এখানে তৈরী হইছে গাড়ির চাকার ওপরে ভর করে। ইট এর বদলে এটাই এখানকার চাবিকাঠি, সাথে আছে প্রকৃতি কে আলিঙ্গনের স্বতস্ফূর্ত চাহিদা। কলকাতা শহর থেকে ঘণ্টা দের দূরে এ জানি এক সোনার খনি।
কাঁচের বোতল দিয়ে বানানো খাটের নিচের অংশ টুকু, দেওয়াল জুড়ে শুধু প্রকৃতির এক চেনা খেলা, যেনো কোন এক তুলির ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে ভালোবাসার এক চেনা রঙ। মাটির তৈরী ঘরে, দিনের গরমে ঘর থাকে ঠান্ডা, আর রাতের শৈত্যপ্রাহের নাগালে বেরিয়ে ঘর হয়ে যায় গরম। সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত, ঘরের বাইরে বসার জায়গা থেকে অনুভব করা হয় আকাশের বদলে যাওয়ার রঙ এর খেলা।
মন্দ্বরিকার পাশেই রয়েছে প্রায় তিনশ বছরের পুরনো রাজরাজেস্বর মন্দির আর তার গায়ে আঁকা টেরাকোটার কাজ । আছে গ্রামের আদী দেবী, দ্বারিকা চণ্ডীর মন্দির। মা চণ্ডীর শান্ত রূপ, সন্ধেবেলায় আরতি দেখার এখানে এক আলাদা অভিজ্ঞতা। আটপুর e রাধা গোবিন্দর মন্দির, তন্টিপারায় কম দামে শাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশন এর আশ্রম যেখানে স্বামীজি দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন, গ্রামের প্রতিটা কোনায় কোনায় লুকিয়ে আছে ইতিহাসের এক লুকোনো পাতা।
খরচ?
দ্বিশয্যা ঘর ২০০০ টাকা
চার শয্যা ঘর ৩০০০ টাকা
খাওয়া দাওয়া – ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, ইভিনিং স্ন্যাক্স সব নিয়ে ৮৫০/ দিন/ মাথা।।
হোম টু হোম প্যাকেজ আর ডে ট্রিপ করতে চাইলে, তার সুব্যবস্থা আছে।
মধ্যেনোভোজে মনদ্বারিকায় রয়েছে কলাপাতায় পরিবেশ করা
১. লুচি, তরকারি / ব্রেড, বাটার, ওমলেট।
২. মিষ্টি।
৩. চা / কফি।
লাঞ্চ এ রয়েছে,
১. ভাত, ঘি
২. শুক্তো
৩. ডাল
৪. ফুলকপির তরকারি
৫. সবজি
৬. পোস্ত দিয়ে আলুভাজা
৭. বকফুল এর বড়া
৮. তোপসে ফ্রাই
৯. মাছের কালিয়া/ চিকেন/ মটন
১০. চাটনি
১১. পাঁপড়
১২. রসগোল্লা
১৩. এখানকার স্পেশাল দই।
(দাম অনুযায়ী খাবারের রকমফের হতে পারে)
সন্ধ্যে বেলার স্ন্যাকস এ রয়েছে
১. ভেজ পাকোড়া/ চিকেন পাকোড়া/ সিঙ্গারা মুড়ি/ চপ মুড়ি।
২. চা/ কফি।
(সন্ধেবেলার স্ন্যাকস এর ক্ষেত্রে খাবার customize করার ব্যবস্থা রয়েছে)
ডিনারে রয়েছে
১. রুটি/ রাইস/ ফ্রায়েড রাইস/ পোলাও।
২. চিকেন।
৩. চাটনি।
৪. পাঁপড়।
৫. মিষ্টি।
(দাম অনুযায়ী খাবারের রকমফের হতে পারে)
ঠিকানা?
মন্দ্বারিকা ইকো রিসোর্ট
দ্বরহাত্ত – রামহাতিতলা রোড, ওয়েস্ট বেঙ্গল। ৭১২৪০৩।
গুগল ম্যাপ লিংক
https://maps.app.goo.gl/rKgoyiQH7aEr3buy7
কিভাবে যাবেন?
গাড়ি বা বাইক করে আরামবাগ এর রাস্তা। অথবা ট্রেন এ করে হারিপাল, আর তারপরে অটো।
ডানলপ থেকে 26 নম্বর বাস ধরে গজার মোড়ে নেমে, অটো করেও আসা যায়।
বুকিং? 9051160870/9038633211/9836022344